পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দুর্নীতি দমনঃ ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ পাকিস্তানের চাইতেও ব্যর্থ আমরা

ছবি
 কিছুদিন আগে প্রধান বিচারপতিকে কেন্দ্র করে বিচার বিভাগের নৈরাজ্যের কথা লিখতে গিয়ে একবার অন্তত পাকিস্তান হতে চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম ওই রকম পরিস্থিতিতে অন্তত পাকিস্তান যা করেছিলো, আমরাও সেটা করি। এই দেশে পজিটিভভাবে পাকিস্তানের নাম নেয়া এক চরম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার। এমনকি ওই দেশের নাম না নিয়েও বর্তমান সরকারের কোনো বিষয়ে যৌক্তিক সমালোচনা করলেও পাকিস্তান চলে যাবার পরামর্শ পাওয়া যায়। আজও আবার একই ঝুঁকি নিলাম পাকিস্তানের নাম নিয়ে। কোনো ক্ষেত্রে আমাদের পিছিয়ে থাকার কথা বলতে গিয়ে আমরা যদি ভারতের নাম নেই, তখন এক ভাঙা রেকর্ড বাজানো হয় আমাদের সামনে – ভারতের তো দীর্ঘ গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য আছে, তার সাথে দীর্ঘদিন  সামরিক শাসনের অধীনে থাকা বাংলাদেশের তুলনা চলে না। এটা বাজে যুক্তি, কেন বাজে সেই আলোচনা আজকের পোস্টে করছি না। বরং আমি ইদানিং নতুন কৌশল নিয়েছি, তুলনা করার ক্ষেত্রে আমি খুঁজে বের করি, তেমন সব দেশকে যেগুলো নানা সূচকে আমাদের দেশের চাইতে অনেক নিচুতে অবস্থান করে। তিন দিন আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এর বিশ্বের দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশিত হয়েছে। এই সূচকটি সম্পর্কে আমরা প্রথম জানতে পারি ১৯৯...

ক্ষমার রাজনীতি, কি হবে এরপর?

 ক্ষমার রাজনীতির অভাব শুধু বাংলাদেশেই নয়; বিশ্ব রাজনীতিরও অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা একেবারেই অন্য রকম। মানুষ মানবতার সভ্যতার সৃষ্ট সমাজে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময় থেকে প্রতিটি কঠিন মুহুর্ত সৃষ্টকারীদেরও বঙ্গবন্ধু ক্ষমার চোখে অবলোকন করেছেন। আর তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে শেখ হাসিনাও। সাম্প্রতিক খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন কথা শুনতে যেমন বেমানান আবার এ নিয়ে আলোচনা করলেও কেন ক্ষমা করেছে এই ধরনের উদ্ভট মন্তব্যের কোনো ছিঁটেফোটা তথ্য-প্রমাণও খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং শেখ হাসিনা কখন, কাকে, কীভাবে, কী কারণে ক্ষমা করেছে; তা নিয়ে লিখতে বা আলোচনা শুরু করলে শেষ হবার কথা নয়। তবে স্যোশাল মিডিয়াতে এক এক জনের এক এক ভাবনার প্রতিফলন দেখা গেছে। কেউ বলেছে, ক্ষমা করে দিয়েছি বলার মধ্যে মুলত নিজেই নিজের পরিস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে বঙ্গবন্ধু’র কন্যা শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে খালেদা জিয়ার এই রকম হাস্যকর মন্তব্য নিয়ে সাধারণ মানুষের অসাধারণ চিন্তা-ভাবনাগুলো উড়িয়ে দেওয়ার স...

কাহালুতে পিছিয়ে প্রতিভাবান ‘শিশু সাংবাদিকরা’

গণযোগাযোগ ও জনসচেতনতার জন্য সংবাদ মাধ্যমের বিকল্প কিছুই নেই। সংবাদপত্র এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে বাংলাদেশের অবস্থান লক্ষনীয়। সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে, তালমিলিয়ে চলছে উন্নত বিশ্বের সাথে। একমাত্র সাংবাদিকরাই পারে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দূর্বিসহ পরিস্থিতি, এলাকায় ঘটে যাওয়া নান ঘটনা-দূঃঘটনা পুরো সমাজ তথা পুরো বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে। “শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ” তাইতো সাংবাদিকতাতেও পিছিয়ে নেই শিশুরা। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলাগুলোতে শিশু সাংবাদিকতা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কার্যক্রম লক্ষ করা গেলেও কাহালুতে এর নেই কোন উদ্দোগ। ১৯৯২ সালের দিকে কাহালু প্রেসকাব প্রতিষ্ঠিত হলেও আজ পর্যন্ত শিশু সাংবাদিকতা নিয়ে করা হয়নি কোন কর্মশাল। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের শিশুদের জন্য আলাদা প্লাটফর্ম (হ্যালো ও প্রিজম) থাকলেও এ অঞ্চলে নেই তার কার্যক্রম। এছাড়া অন্যান্য সংবাদ পত্র কিংবা টিভি চ্যানেলের এরকম কার্যক্রম থাকলেও তা তেমন একটা লক্ষ করা যায়নি। শিশু-কিশোরদের জন্য চাই সুষ্ঠ বিকাশ মাধ্যম। শিশু কিশোরদের মধ্যে তাদের প্রতিভা সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। আর এ প্রতিভাকে জাগ্রত করার জন্য প্...

নতুন সমাজ ব্যবস্থায় হাটছি আমরা

 আমরা যখন স্কুলে পড়তাম, তখনও রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটেনি স্কুল গুলোতে। ক্লাসের এক থেকে দশ রোল নাম্বার যাদের ছিলো ওদের কেউ ডাক্তার, কেউ ব্যাংকার, কেউ সরকারী চাকুরে বড় ছোট মিলিয়ে কেউ আবার ব্যাবসায়ী দেশে কিংবা বিদেশে, কেউ প্রাইভেট জব করছে। আর কলেজে উঠার পর কলেজ হোস্টেল আর কলেজ মিলনায়তন এর সূত্র ধরে রাজনীতিতে ঢুকে পড়লো ক্যম্পাসে। আর দুই বছরের কলেজ পড়া শেষে যারা ঢাকা চট্টগ্রাম সহ দেশের নামী দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পড়ার সুযোগ পেল, তাদের পেশাগত জীবন ও স্কুলের ওই সহপাঠীদের মতোই নির্দিষ্ট গন্ডী আর সীমাবদ্ধতায় ঘেরা আটপৌরে জীবনের সীমারেখায় গিয়ে বৃত্তবন্দী। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে গিয়েও যারা রাজনীতি থেকে দূরে ছিলো ওদের বেশীর ভাগেরই তেমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই বল্লেই চলে। কোন রকম মাছি মারা কেরানী, আর যাদের পারিবারিক সূত্রে যতটা সুযোগ ছিলো সেটা কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠা, আর বাকীরা কলুর বলদ। যারা রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো তাদের সুযোগ ছিলো প্রভাব খাটানোর, দলীয় কানেকশানের সূত্র ধরে চাকুরী, বাণিজ্য কিংবা অন্য কিছু করে আর্থিক সাফল্যের বিচারে তারা অনেক ক্ষমতাবান। কলেজ থেকে যারা বিশ্ববিদ্যালয় ...

লাশ আর ভাত নিয়ে রাজনীতির সর্বশেষ সংস্করণ

লিখছিলাম:রেজাউল হক,ব্লগার,সিলেট  সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিপ্লবী নেতা সিরাজ শিকদার, চারু মজুমদারের আত্মা আজ ক্ষোভে ফেটে পরছে। বেঁচে থাকলে নিশ্চই অভাগাদের বাঁচাতে বলে উঠতেন ’বিপ্লব দির্ঘজীবি হউক’, আর বিপ্লবের মূলমন্ত্র থেকে বিচ্যুত কিছু নির্লজ্জদের বধ করে ফেলতেন। ভাতের অভাবে ১২ বছরের এক কিশোরীর আত্মহত্যা নিয়ে যে নির্লজ্জ প্রচারণা চালানো হচ্ছে, তাতে করে মানুষের মুক্তির বাসনায় ’শ্রেণীশত্রু হঠাও’ সমর্থকদের চরম বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। এই নির্লজ্জ মানুষগুলো দেশের সহজ সরল দরিদ্র জনগোষ্ঠির ওপর ভর করে নিজের স্বার্থ এবং নিজেকে দরদী, দেশপ্রেমি, আদর্শবাদী বলে জাহির করতে ব্যস্ত। এরা কোন অবস্থাতেই বাম ধারার রাজনীতির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত নয়। ‘৭৪ এ বাসন্তীর ছবি এদেশের গনমাধ্যমকে কলুষিত করেছে। তৎপরবর্তি সময়ে তথাকথিত কিছু মানুষের স্বার্থান্বেষি হানাহানি আর নৈতিক স্খলনের কারণে আজও এই বাংলাদেশে সাধারন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি। বরং, এদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেশে স্থায়ীভাবে সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি হয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে রঙ দেওয়া এবং একটি সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা সমৃদ্ধ সংবাদটির ভেতরেই লুকিয়ে আছে অনেক সত...