পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

উন্নয়নের জোয়ারে ধ্বংসের পথে স্বদেশ

লিখছিলাম:রেজাউল হক,ব্লগার   ২০২১সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার এ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে অনেক দূর এগিয়েছে পিছনের তুলনায়  এটা সত্যি  কিন্তু বাড়তি কোনো সুবিধা আসছে কি সাধারণ মানুষের জীবন যাপনে , বন্ধ হয়েছে কি দুর্নীতি, জাতি হিসেবে কি আমরা হয়ে উঠেছে সভ্য? একটা বিশাল জনগোষ্ঠীকে পরিবর্তন করতে না পারলে দেশের উন্নতি আশা করাটা কতটা বোকামো ? সরকারের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার চেষ্টাতে সাধারণ মানুষের জীবন যাপন নিয়ে কতটা ভাবছে সরকার, আদৌ কি ভাবছে গরীব দুঃখী মানুষের কথা,এমন প্রশ্ন উঁকি দেই আমার মনে। উন্নয়নের প্রচণ্ড ডামাডোল বাজছে চতুর্দিকে। দেশের শাসকগোষ্ঠী তারস্বরে ঘোষণা করছেন আমাদের দেশ সহসা নাকি শুধু এশিয়ার নয়, বিশ্বের রোল মডেল হতে যাচ্ছে। আমরা নাকি সহসা কানাডা, ফ্রান্সকেও ছাড়িয়ে যাব। আমাদের দেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ব্যাংক বীমা অফিস আদালতে আমরা দেদারসে ইন্টারনেট, কম্পিউটার,ব্যবহার করছি। হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিক্ষেপ করেছি। আমাদের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শণৈঃ শণৈঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক...

গোল্ডেনের চাপে আমাদের শিশুরা

 আসলে ছেলেমেয়েদের, বিশেষত শিশু, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরতদের জন্য স্কুলব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়া আনন্দের ব্যাপারই বটে। কিন্তু সেটা আর আনন্দময় থাকে না কতিপয় বিদ্যালোভী অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কারণে। তারা সকল শিশুকেই ‘আইনস্টাইন’ বানাতে চায়। ফলে বিদ্যাশিক্ষা শিশুর স্বভাব ধ্বংসকারী বোঝা হয়ে ওঠে। স্কুলব্যাগের বোঝাকে কেবল শারীরিক ক্লেশ দিয়ে বুঝালেই চলবে না। ওজনদার পাঠ্যবইয়ের বোঝা কেবল বহন করা নয়, পড়তেও হয়; বাড়িতে ফিরে ঘাড়মুখ গুঁজে একগাদা হোমওয়ার্কও করতে হয়। অর্থাত্, শুষ্কজ্ঞানের বোঝাও তাদের বয়ে চলতে হয়। ফলে জগিবিচ্ছিন্ন কলুর বলদের মতো তারা শারীরিক ও মানসিক উভয়বিধ যন্ত্রণাতেই কাতর হতে থাকে। পরিণতিতে, বড় হয়েও তারা বহির্জগতে একা চলতে অক্ষম থেকে যায়। এরূপ কৃত্রিম জ্ঞানবিদ্যাচর্চা নিয়ে সারাবিশ্বে সমালোচনা চলছে। ইউরোপে আজকাল কৃত্রিম স্কুলের বিপরীতে প্রাকৃতিক স্কুল ধারণা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আশার কথা হলো, বইয়ের বোঝা কমাতে সরকার নানাআইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে চললেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ঠিক “কাজীর গরু কাগজে আছে গোয়ালে নেই” এর মতো অবস্থা।অর্থ্যাত মাঠ পর্যায়ে নেই সেই আইনের কোন বাস্ত...