পোস্টগুলি

মে, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সিলেটি ভাষা ও সংস্কৃতি

 ভাষা নিয়ত পরিবর্তনশীল এবং ভাষার পরিবর্তন হয় এলাকাভিত্তিক এবং দুরম্নত্বের উপর নির্ভর করে।সে হিসেবে সিলেটিদের মুখের ভাষা প্রকৃত বাংলা ভাষা হতেবেশ খানিকটা দুরে। সিলেট ঐতিহাসিকভাবেই আলাদা ভাষা এবং আলাদা সংস্কৃতি ধারণ ও লালন করে আসছে। এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বসবাস যার ফলে ভাষারক্ষেত্রেও রয়েছে বৈচিত্র্য । পূর্বে সিলেট আসাম রাজ্যের অন্তর্গত থাকার ফলে সিলেটের ভাষা ও সংস্কৃতিতে আসামের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও সিলেটের রয়েছে এক বৈচিত্র্যময় নিজস্ব বর্ণমালা যা নাগরী লিপি হিসেবে পরিচিত।সিলেটের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উজ্জ্বলতম দলিল নাগরী লিপি। এই রীতিতেই রচিত হয় তৎকালীন উন্নত সাহিত্য। সিলেটের আঞ্চলিক বা কথ্য ভাষার রয়েছে বিজ্ঞান সম্মত লিপি মালা। গবেষক ও ভাষা বিজ্ঞানীদের কাছে এটি রীতিমতো বিস্ময়কর। নাগরীর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-এটি সিলেট অঞ্চলের মুসলমানদের একান্ত নিজস্ব সম্পদ।নাগরীর অক্ষর মাত্র ৩২টি। যুক্ত বর্ণ সাধারণত ব্যবহৃত হয় না। মাত্র আড়াই দিনেশেখা যায়। তাই মহিলাদের মধ্যে নাগরীর প্রচার ও প্রসার ছিল বেশি। এখনো অনেক মহিলা নাগরী জানেন।nagari-lipi-12ad12নাগরীতে রচিত পুঁথি পুস্তকের বি...

মাধ্যমিক ও সমমানের ফল প্রকাশ

ছবি
 ২০১৭ সালের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।  গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত এবারের এসএসসির তত্ত্বীয় এবং ৪ থেকে ১১ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়।দশ বোর্ডে এবার মোট ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন।  আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসিতে ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ৭৬ দশমিক ২০ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৭৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আট বোর্ডে ৯৭ হাজার ৯৬৪ জন, দাখিলে ২ হাজার ৬১০ জন এবং কারিগরিতে ৪ হাজার ১৮৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। দশ বোর্ডে এবার মোট ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন। ছবি: ইন্টারনেট

প্রাথমিক শিক্ষার মান এবং ধারাবাহিকতা

 স্কুলপড়ুয়া  ৬২লাখ শিশু এখনো শিক্ষার বাইরে যাদের অধিকাংশের বাসস্থান শহর বা দুর্গম অঞ্চলে। ৪৬ লাখ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাওয়ার বয়সি। প্রাথমিক শিক্ষায় ছেলে-মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং সমতা তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। সফলতার দিকগুলো হল - সব শিশুর প্রাথমিকে ভর্তি হওয়া, শ্রেণিকক্ষে লৈঙ্গিক সমতা প্রতিষ্ঠা এবং অতি উচ্চ হারে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শেষ করা। কিন্তু প্রাথমিক স্তরে শিশুদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা শিক্ষার মান। নিম্নমানের কারণে শিশুরা উপযুক্ত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় এবং এক পর্যায়ে ঝরে পড়ে। পূর্ণ যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকের অভাব, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, অপুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা- এ সবই শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বহু বিদ্যালয়ে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। এর কারনে শতকরা ৮০ ভাগ প্রতিষ্ঠানই দিনে দুই শিফট চালায়। শিক্ষকদের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান, তাদের ওপর নজর রাখা এবং জবাবদিহিতার ঘাটতিও প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ২০১৩ সালের ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট অনুসারে, পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া প্রতি চারজন শিক্ষার্থীর মধ্...