সিলেটের বহুল পরিচিত শব্দ"খোজকর" নিয়ে কিছু কথা
বাংলা অভিধানে ‘খোজকর’ শব্দের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়না।এমনকি বৃহত্তর সিলেটের বাইরে কোথাও এর অস্তিত্ব আছে কি না সে ব্যাপারেও সন্দেহ আছে।সিলেটেও বর্তমানে এটি একটি মৃত শব্দ। শ্রীযুত অচ্যুৎ চৌধুরী প্রণীত ‘শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত’ নামক সুবিশাল গ্রন্থে কয়েক লাইনে খোজকর শব্দের উল্লেখ থাকলেও প্রথমেই সেখানে তার ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। গ্রন্থমতে ফালজোড়ের কালী সদনে এক সময় নরবলির প্রচলন ছিল। শারদীয় পূজার নবমী তিথীতে অথবা জয়ন্তিয়া রাজকুমারদের জন্মাদি অনুষ্টান উপলক্ষে নরবলি দেয়া হতো। চরগণ অন্যান্য রাজ্য থেকে বলির জন্য মনুষ্য সংগ্রহ করত আর এই চরদেরই বলা হতো খোজকর ১।বলিদানের তথ্য সঠিক হলেও খোজকর নামকরণের তথ্য সঠিক নয় কারণ নরবলির জন্য মনুষ্য সংগ্রহকারীদের নাম খোজকর হওয়ার কোনো কারণ নেই। খোছকর বা খোজকর শব্দটি গঠিত হয়েছে ফার্সী খোজা ও বাংলা কর প্রত্যয় যোগে।খোজা মানে নপুংশক এবং এর সাথে কর প্রত্যয়যোগে হয়েছে খোজাকর<খোজকর<খোছকর। তারমানে খোজকর শব্দের অর্থ দাঁড়ায় কৃত্রিম উপায়ে খোজা বা নপুংশক বানানো।সিলেটে কয়েক শতাব্দী ব্যাপী এই কুপ্রথাটি চালু ছিল।ছেলেধরা চক্র প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শিশুদের ধরে খোজা বানিয়ে বাই...