টাকার বিনিময়ে জিপিএ 5

 টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে জিপিএ 5 কলেজের অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে অভিযোগ এর সাথে জড়িত 

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সর্বোচ্চ ফল জিপিএ 5 অর্জন করতে কঠোর সাধনার মধ্যে যেতে হয় একজন শিক্ষার্থীকে কিন্তু  প্রশ্নপত্র ফাঁস কঠিন এই পথকে সহজ করে দিয়েছে অনেকের জন্য , আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরব কিভাবে আরো সহজে মিলে সর্বোচ্চ এই গ্রেড।

 

রাজধানী ঢাকাতে টাকার বিনিময়ে সবকিছুই যেন সহজেই পাওয়া যায় কিন্তু এই ছোট্ট শহর সিলেটে তা অনেকটা কঠিন কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থাকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে সমাজের কিছু কতিপয় ধন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে তাতে শিক্ষার্থীদের সহজেই প্রশ্ন পত্রের মাধ্যমে ভালো ফলাফল অর্জন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সকলের মধ্যে সুনামধন্য করে তুলেছে। সিলেট শহরে অনেকগুলো প্রাইভেট কলেজ এবং সরকারি কলেজ পাওয়া যায় কিন্তু এতগুলো কলেজের কি  সরকার অনুমোদিত ? তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে। সিলেট শিক্ষাবোর্ডে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তা অনেকেই বলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনেকেই নতুনভাবে কলেজ নির্মাণ করছে সবগুলো কলেজ সরকার অনুমোদিত নয় । প্রশ্ন জাগে কিভাবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে? জানা যায় অনুমোদিত কলেজের সাথে টাকার বিনিময় চুক্তি করে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অন্য কলেজের নামকরণ করে।

 একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায় অনেকগুলো কলেজের নিজস্ব কোন ক্যাম্পাস ছাড়াই বাসা ভাড়া নিয়ে কলেজ স্থাপন করে কলেজ চালিয়ে আসছে । নেই কোনো মানসম্পন্ন শিক্ষক নেই পড়ালেখার পরিবেশ কিন্তু বছর শেষে  সবচেয়ে সেরা কলেজ হিসেবে তালিকায় নাম পেয়ে যাচ্ছে এসব কলেজ। প্রশ্ন জাগে তাহলে বন্ধ হচ্ছে না কেন এসব কলেজ ?শিক্ষাব্যবস্থা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন ? এ  প্রশ্নের উত্তরে পাওয়া যায় রাজনৈতিক কিছু ব্যক্তিবর্গরা প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের মুখ বন্ধ করে রেখেছে। হাত আছে শিক্ষা অধিদপ্তর এর ও।


এই হল আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ,যারা মানুষ গড়ার কারিগর তাদের দ্বারাই হচ্ছে এখন সমাজের ধ্বংস  শিক্ষা ব্যবস্থায় যেন এখন নতুন বিজনেস এর রূপ ধারণ করেছে। শিক্ষার্থী যখন পড়াশোনা ছাড়াই সর্বোচ্চ গ্রেডে উন্নীত হয় পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান ছাড়াই যখন শিক্ষিত জাতি গড়ে উঠে তখন দেশের ধ্বংস অনিবার্য । শিক্ষার হার নয় শিক্ষার মান বাড়ানো তে সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত । বন্ধ করে দেয়া হোক সেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা যেগুলো সরকার অনুমোদিত নয়। সুস্থ শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।

                লেখছেন রেজাউল হক




মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সিলেটি ভাষা ও সংস্কৃতি

 ভাষা নিয়ত পরিবর্তনশীল এবং ভাষার পরিবর্তন হয় এলাকাভিত্তিক এবং দুরম্নত্বের উপর নির্ভর করে।সে হিসেবে সিলেটিদের মুখের ভাষা প্রকৃত বাংলা ভাষা হতেবেশ খানিকটা দুরে। সিলেট ঐতিহাসিকভাবেই আলাদা ভাষা এবং আলাদা সংস্কৃতি ধারণ ও লালন করে আসছে। এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বসবাস যার ফলে ভাষারক্ষেত্রেও রয়েছে বৈচিত্র্য । পূর্বে সিলেট আসাম রাজ্যের অন্তর্গত থাকার ফলে সিলেটের ভাষা ও সংস্কৃতিতে আসামের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও সিলেটের রয়েছে এক বৈচিত্র্যময় নিজস্ব বর্ণমালা যা নাগরী লিপি হিসেবে পরিচিত।সিলেটের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উজ্জ্বলতম দলিল নাগরী লিপি। এই রীতিতেই রচিত হয় তৎকালীন উন্নত সাহিত্য। সিলেটের আঞ্চলিক বা কথ্য ভাষার রয়েছে বিজ্ঞান সম্মত লিপি মালা। গবেষক ও ভাষা বিজ্ঞানীদের কাছে এটি রীতিমতো বিস্ময়কর। নাগরীর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-এটি সিলেট অঞ্চলের মুসলমানদের একান্ত নিজস্ব সম্পদ।নাগরীর অক্ষর মাত্র ৩২টি। যুক্ত বর্ণ সাধারণত ব্যবহৃত হয় না। মাত্র আড়াই দিনেশেখা যায়। তাই মহিলাদের মধ্যে নাগরীর প্রচার ও প্রসার ছিল বেশি। এখনো অনেক মহিলা নাগরী জানেন।nagari-lipi-12ad12নাগরীতে রচিত পুঁথি পুস্তকের বি...
আরও পড়ুন

নতুন সমাজ ব্যবস্থায় হাটছি আমরা

 আমরা যখন স্কুলে পড়তাম, তখনও রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটেনি স্কুল গুলোতে। ক্লাসের এক থেকে দশ রোল নাম্বার যাদের ছিলো ওদের কেউ ডাক্তার, কেউ ব্যাংকার, কেউ সরকারী চাকুরে বড় ছোট মিলিয়ে কেউ আবার ব্যাবসায়ী দেশে কিংবা বিদেশে, কেউ প্রাইভেট জব করছে। আর কলেজে উঠার পর কলেজ হোস্টেল আর কলেজ মিলনায়তন এর সূত্র ধরে রাজনীতিতে ঢুকে পড়লো ক্যম্পাসে। আর দুই বছরের কলেজ পড়া শেষে যারা ঢাকা চট্টগ্রাম সহ দেশের নামী দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পড়ার সুযোগ পেল, তাদের পেশাগত জীবন ও স্কুলের ওই সহপাঠীদের মতোই নির্দিষ্ট গন্ডী আর সীমাবদ্ধতায় ঘেরা আটপৌরে জীবনের সীমারেখায় গিয়ে বৃত্তবন্দী। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে গিয়েও যারা রাজনীতি থেকে দূরে ছিলো ওদের বেশীর ভাগেরই তেমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই বল্লেই চলে। কোন রকম মাছি মারা কেরানী, আর যাদের পারিবারিক সূত্রে যতটা সুযোগ ছিলো সেটা কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠা, আর বাকীরা কলুর বলদ। যারা রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো তাদের সুযোগ ছিলো প্রভাব খাটানোর, দলীয় কানেকশানের সূত্র ধরে চাকুরী, বাণিজ্য কিংবা অন্য কিছু করে আর্থিক সাফল্যের বিচারে তারা অনেক ক্ষমতাবান। কলেজ থেকে যারা বিশ্ববিদ্যালয় ...
আরও পড়ুন

প্রসঙ্গ: ধর্মওয়ালা শাসক শোষক বনাম অভিজিৎ

ছবি
  শাসক শোষকরা সব সময়ই চেয়েছে সাধারণ নাগরিকের মাথার উপর ছড়ি ঘোরাতে আর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সেরা সুযোগ সুবিধাগুলো ভোগ করতে। চতুর এইসব শাসক শোষকদের বিরোধিতা যারাই করেছে অথবা নাগরিকদের ন্যায্য অধিকার দাবি করেছে তাঁরাই পড়েছে শাসকের রোষানলে। হাজার হাজার বছর ধরেই চলছে এমন দাপুটে অন্যায়, ছলে বলে ও কৌশলে। সাধারণ মানুষদের মধ্যে যারা প্রতিবাদী, সাহসী ন্যায়পরায়ণ অথবা অপেক্ষাকৃত তথ্যাভিজ্ঞ তারাই গণ্য হয়েছে শাসকের শত্রু হিসেবে। শোষকগোষ্ঠী স্বার্থবাদীদের সাথে আঁতাত করে খুন করেছে এইসব এগিয়ে থাকা সু-নাগরিকদের অথবা করেছে নির্যাতন নিপীড়ন প্রতারণা ও বঞ্চনা। টিকে থেকেছে ক্ষমতায়। বাংলাদেশে জন্মানো এমন সুনাগরিকদের মধ্যে নির্মোহ ও মুক্তমনের অত্যুজ্জ্বল একটি মানুষ ছিল অভিজিৎ রায়। নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল তাঁকে ২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি। একই হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্কটজনক ও ভাবে গুরুতর আহত হয় আরেকজন মুক্তমনের মানুষ, উজ্জ্বল মানবতাবাদী রাফিদা আহমেদ বন্যা, অভিজিতের স্ত্রী। এই তারিখের আগে ও পরের মাস এবং বছরগুলোতেও খুন হয়ে যায় যুক্তিবাদী প্রগতিশীল ও মুক্তমনের আরো অনেক লেখক। মুক্তমত প্রকাশের চেষ্টা করলেই লেখক বক্তা ...
আরও পড়ুন