পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নারীসঙ্গ পাবার ক্ষেত্রে কি পুরুষদের সফলতা লাগে?

  ধরুন আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন এবং হঠাৎ দেখলেন ফুটপাথে একজন কৃষ্ণবর্ণের তরুণী ভিক্ষা করছে বসে, তার শরীর অনেক রোগা এবং পাতলা। আপনি কি ঐ তরুণীর সঙ্গে প্রেম করতে চাইবেন? বা ধরুন একজন পুরুষ কুষ্ঠ রোগীকে একজন ফর্সা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণী রাস্তায় ভিক্ষা করতে দেখলো, এক্ষেত্রে তরুণীটি কি পুরুষটির সঙ্গে প্রেম করতে চাইবে? দুটি প্রশ্নের উত্তরই একই, না; না একজন সফল ছেলে ভিখারিনীর সঙ্গে প্রেম করতে চাইবে, আবার না একজন সফল মেয়ে পুরুষ ভিক্ষুকের সঙ্গে প্রেম করতে চাইবে; এটার কারণ কি? উত্তর খুঁজতে গিয়ে পেয়ে যাবেন যে, আর্থসামাজিক কারণেই এমনটা হয়েছে, হ্যাঁ, কারণটা আর্থসামাজিকই। অন্য দিকে বাংলাদেশের সমাজে ভালো পরিবারের ব্যর্থ ছেলেরাও মেয়েদের সঙ্গ পায়না কেন? এর কারণ কি হ’তে পারে? এখানে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিকতা, এছাড়া রক্ষণশীলতা এবং ধর্মীয় অনুশাসন তো রয়েছেই। বাংলাদেশের সমাজে কখনো দেখেছেন, যে, মেয়েদের কর্ম আর ছেলেদের বেকারত্বের মিলন অর্থাৎ একটি বেকার ছেলেকে একটি কর্মজীবী মেয়ে বিয়ে করেছে, এমনটি দেখেছেন কখনো? দেখলেও সেটা অনেক কম দেখবেন, আমাদের দেশ বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামো অনেক ঋণাত্মকভাবে তৈরি করা, সামান্য...

রডের বদলে বাঁশ!

লেখক:রেজাউল হক,ব্লগার  ২০১৮ সালের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে রডের বদলে বাঁশ এ যেন নতুন কিছু নয়। আমি এর আগেও অনেক বার রডের বদলে বাঁশ এর ব্যবহার দেখেছি, ২০১৭ সালে আমরা স্কুল  নির্মাণের রডের বদলে বাঁশ এর ব্যবহার দেখেছিলাম। এবার সিলেটের তৃতীয় শাহজালাল সেতুর সংস্কারের  কাজে রডের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ। যে সেতু দিয়ে পার হয় হাজারো গাড়ি হাজারো মানুষ অর্থনীতির চাকা সচল করে যে রাস্তাঘাট এবং কালভাট ব্রিজ গুলা সেখানেই যখন দুর্নীতি চোখে পড়ার মতো । তখনই দেশের উন্নতি আশা করাটা কতটা বোকামী? যাদের কাছে মানুষের আস্থা যারা দেশ গড়ার কারিগর তারাই যেন শিখিয়ে দিয়েছে আমাদেরকে কি করে নিজের পকেট ভারি করে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া যায়  আমরা সাধারন জনগন তো এত কিছু মারফত বুঝতে চায় না। সহজ সরল ভাষায় আমরা চাই দেশের উন্নয়ন চায় বিশ্বে আমাদের দেশ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াক কিন্তু কে বাদা এই উন্নয়নের ?কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয় কাজের জন্য সে কাজ যখন স্থায়িত্ব হারাই  বছরেরও কম তখন দেশের উন্নতি কিভাবে সম্ভব প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মনে।২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে একটি অংশ ভে...

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কিছু কথা!

ছবি
  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে অনেক লেখা আছে, থাকবে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে নানা মানুষ লেখেন। লেখার কি শেষ আছে? রবীন্দ্রনাথকে মেলে ধরা সহজ কোন কাজ নয়। তবু তাঁকে জেনে বুঝে আর তাঁকে নিয়ে লিখতে চান এমন মানুষদেরও অভাব নেই। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে কিছু লেখা হয়তো আমার ধৃষ্টতা হবে, তবু লিখছি। কিছু কিছু তথ্য হয়তো বা অনেকের মনে নেই বা তারা জানার আগ্রহ বোধ করেননি, তেমনি কিছু নিয়েই এ লেখা। সামান্য পড়াশোনা করতে হয়েছে এইটুকু লিখতে। ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে পূর্ব-বঙ্গ অর্থাৎ বাংলাদেশের সম্পর্ক যে নিগুড় তা’ই বলার চেষ্টা করেছি, যদিও কোন লেখাই সম্পূর্ণ হতে পারে না, আমার এটাও তেমনি। রবীন্দ্রনাথের কাব্য সাহিত্য ভাব’এ সুগভীর, গীতিময়, চিত্ররূপময়, আধ্যাত্বিক ও ঐতিহ্যপ্রীত। এতে রয়েছে অনাবিল প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, দেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্য চেতনা, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বিপুল বৈচিত্র্য আর সেই সাথে বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদী ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞান চেতনা এবং শিল্পদর্শনের প্রভাব তাঁর রচনায় গভীর। ত...