প্রসঙ্গ:বাকশক্তি হারান
যুগের পরিবর্তে সব রাজনীতি গণতন্ত্র সবকিছুতে এসেছে পরিবর্তন কিন্তু এ পরিবর্তন কি মানুষের কল্যাণকর। কথা বলব নিজের সম্পর্কে ।
ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির ইচ্ছা নিয়ে বড় হয়েছি। লেখালেখিতে যেন অন্যরকম একটি আনন্দ। সত্যপ্রকাশ জন্ম-মৃত্যু মানবাধিকার এবং দুর্নীতি বিভিন্ন বিষয়ে অনেক লিখেছি আমার ব্লগের মধ্যে। অনেক সময় সমালোচনার সামনেও পড়তে হয়েছে অনেক সময় অনেক বাদার। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সাল থেকে। আর তখন থেকেই এটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত। আমার মতে গণতন্ত্র হচ্ছে প্রত্যেক মানুষের নিজ নিজ মত প্রকাশ, নিজ ইচ্ছাতে সরকার গঠন, মানুষের অধিকার পাওয়া। কিন্তু উনিশ শতকে এসে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা পাল্টে গেছে এই বাংলার বুকে। অনেকদিন আগে থেকেই সাংবাদিকরা অচল হয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীনদের কাছে এখন আর কারো সাহস নেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কথা বলার। নেই কোনো টিভি চ্যানেল, নেই কোন মিডিয়া যেখানে প্রকাশ করা হয় বর্তমান ক্ষমতাসীনদের দাপট এবং তাদের দাপটে চলা নতুন সমাজ ব্যবস্থার কথা। সাংবাদিক হত্যাঃ সত্য বললে কাউকে গুম করা ব্লগারদের রাতের অন্ধকারে হত্যা এমন হাজারো ঘটনা এখন বাংলাদেশের সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। বলেছিলাম কথা বলবো আজ নিজের সম্পর্কে।
অল্প কিছুদিন আগে আমি একটি ব্লগ লিখে ছিলাম , তুলে ধরতে চাই না কোন ব্লগ কারণ তাহলে হয়তো আগামীকালের পুবের আকাশে জ্বলজ্বলে সূর্য আমি না দেখতে পারি । এখন কারো শক্তি নেই ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কথা বলায়। ব্লগ টি লেখার পর হুমকি শুনতে হয়েছে। আমার প্রশ্ন গণতান্ত্রিক দেশে আমার মত প্রকাশের বিরুদ্ধে আমাকে হুমকি কেন শুনতে হবে? গণতন্ত্র মানে হচ্ছে 'জনগণের সরকার'। গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে আব্রাহাম লিংকন বলে গেছেন (গভারমেন্ট বাইদা পিপল ফর দ্যা পিপল অফ দ্যা পিপল) বর্তমান প্রেক্ষাপট যেন পাল্টে গেছে। গভমেন্ট এখন মানুষের জন্য কাজ করে না। যাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে রেখেছে তারা নিজেদের পকেট ভারি এবং নিজেদের স্বার্থের জন্য জনগণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং তাদের স্বার্থে আঘাত হানলে তারা মানুষকে গুম করা মানুষকে হত্যা এবং উচ্ছেদের মতো ভয়াবহ কান্ড ঘটায়।
শাসকগোষ্ঠীর কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই এর ক্ষমতারদপট কতদিন? মানুষের বাকশক্তি হরণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। মানুষের জন্য কাজ করুন মানুষী আপনাকে উন্নতির চরম শিখরে পৌছে দিতে মরিয়া হয়ে উঠবে। আমরা বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় তাদের জনগণের অধিকার সবথেকে বড় দেখে এবং সবার আগেই জনগণের অধিকারকে প্রাধান্য দেয়া হয়। বাংলাদেশে কোন গণ তান্ত্রিক দেশ হয়েও সৌর যান্ত্রিকভাবে দেশকে শাসন করছে। কিন্তু আজ আমাদের সরকার শুধু ২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে বলে মানুষকে আশা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করলেই কি উন্নত সমাজ ব্যবস্থা পাওয়া যাবে নাকি পরিবর্তন ঘটানো দরকার প্রথমে সমাজ ব্যবস্থায়। মানুষের অধিকার যথাযথ ভাবে বুঝিয়ে দেয় হোক মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করে উন্নতির শিখরে কখনোই পৌঁছা যায় না। মানুষের বাকশক্তি, মানুষের অধিকার, সামাজিক মর্যাদা, গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক উপায়ে বাঁচার ব্যবস্থা করা, সবই সরকারের উপর বর্তায়। কিন্তু সরকারের এতোটুকু টনক নড়ছে না। সরকার গুম করা আর হত্যা নিয়ে বেশি ব্যস্ত। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে ঘুম না হয় হত্যা। যখন সরকার নয় বর্তমান পাতি নেতাদের এই অবস্থা কারণ তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে আছে। তাই এখন আর কেউ দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলতে চায় না চায়না কেও কথা বলতে সমাজের অনিয়ম নিয়ে, কেউ কথা বলতে সুশীল সমাজ গড়ার লক্ষ্যে। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হোক মানুষকে সমাজে গণতান্ত্রিক উপায়ে বাঁচার অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হোক, মানুষের বাকশক্তি ফিরিয়ে দেয়া হোক বাকসধীনতা হরণ করা বিরত থাকা হোক। বর্তমান বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে কবির কথা যেন মনে ভেসে ওঠ........
এতো জ্ঞানী গুণী সুশীল আর উচ্ছিষ্টভোগীর ভিড়ে সেই দেবশিশুটি কোথায় ?
উলঙ্গ গণতন্ত্রের গায়ে সুশাসনের ছদ্ম লেবাস পরাবার কারিগর
শাসক গোষ্ঠীর সামনে মোসাহেবীর লেজুড় ছিড়ে,
দেশের জনারণ্যে থেকে সেই শিশুটি নির্ভয়ে বেরিয়ে আসুক।
সহজ কণ্ঠে শাসক গোষ্ঠীকে জিজ্ঞেস করুক,
বাক, ব্যাক্তি স্বাধীনতাহীন দেশের উলঙ্গ গণতন্ত্রের গায়ে
বহুমতের কারুকার্যময় রেশমি কাপড়টা কোথায় গেলো?
লেখক: ব্লগার,রেজাউল হক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন