পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আওয়ামী লীগের কাছে সদুত্তর আছে বলে মনে হয় না!

 স্বাধীনতার পর থেকে আমরা দেখে এসেছি ক্ষমতায় থাকুক আর বিরোধী দলে থাকুক, আওয়ামী লীগ বরাবর রাজনীতিতে চালকের আসনে ছিল। স্বাধীনতার পর পৌনে চার বছর ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। পঁচাত্তরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একুশ বছর বিরোধী দলে ছিল। কিন্তু রাজনীতি ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ প্রায় প্রতিটি সরকারের ঘুম হারাম করেছে রাজপথে আন্দোলন–সংগ্রাম করে। এর প্রধান কারণ দলটি গণমানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষা, দাবিদাওয়ার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসত। দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম জাতীয় সংসদের কার্যবিবরণী দেখলেই এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। রাজপথের আন্দোলনে তো ছিলই। সপ্তম, নবম, দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। ফলে সংসদে ও সংসদের বাইরে তাদের একচ্ছত্র প্রভাব ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর রাজনীতির ওপর আওয়ামী লীগের সেই নিয়ন্ত্রণ অনেকটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। সরকার ও আওয়ামী লীগ এক নয়। সরকার চলে প্রশাসন, আমলা, র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ ইত্যাদি নিয়ে। আর দল চলে নেতা–কর্মীদের নিয়ে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় ছিল, নির্বাচনের পরেও ক্ষমতায় আছে। এই দলের কোনো কোনো নেতা বড়া...

দুর্নীতির কারণে বন্ধ রাস্তার কাজ!

ছবি
 ২০১৫ পর গ্রামের বাড়িতে আর তেমন যাওয়া হয়না ছোটবেলার স্মৃতি অনেক বন্ধু-বান্ধব এখন কেবল অতীতের স্মৃতি মাত্র। তবে প্রায় শুনতে পেতাম গ্রামের রাস্তার নাকি বেহাল অবস্থা ২০২০  সালের শুরুতে বেশ কয়েকবার যেতে হয়েছে গ্রামের বাড়িতে। রাস্তার ভোগান্তি বাড়ি ফেরার আনন্দ যেন মাটি করে দেয়। আমি তো মাত্র একদিন আর দুদিন সপ্তাহে যেতাম কিন্তু যারা প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় চলাফেরা করেন তাদের অবস্থা কেমন হতে পারে? কিন্তু আমার মনে প্রশ্ন সরকার এতদিন ধরে এই রাস্তা সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না কেন? গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বার তারা কতটুকু চেষ্টা করছেন রাস্তার কাজের জন্য? সংস্কারের অভাবে বেহাল চন্ডিপুল থেকে জালালপুর এর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি। লালাবাজার থেকে ৯নং ওয়ার্ডের ভিতর দিয়ে  জালালপুর বাজারে দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার রাস্তাটি চরম বেহাল দশা। গোটা রাস্তায় পিচের আস্তরণ উঠে অংসখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক বর্ষণে ওই সব গর্তে জল জমে প্রায় ডোবায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যাতায়াত করাই দুষ্কর। ছবি:নিজ  সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের চন্ডিপুল থেকে বামে যে সড়কটি সেটিই সিলেট-সুলত...

ভিক্ষার অন্তরালে ব্যবসা!

ছবি
রাস্তাঘাটে বের হলে আপনাদের চোখের সামনে পড়বে হাজারো পথশিশু ভিক্ষা পেশা বেছে নিয়েছে। তবে এই শিশুগুলোর পিছনে লুকিয়ে থাকে অচেনা কিছু দৃশ্য, অজানা কিছু গল্প। ধর্মীয় আর সামাজিকভাবে ভিক্ষাবৃত্তিকে ঘৃণার চোখে দেখা হই বলেই এখন ভিক্ষুকেরা শিশুদেরকে  ভিক্ষার কাজে ব্যবহার করছে। অর্থাৎ শিশুকে পুঁজি করে চলছে এ ভিক্ষার কাজ। কিন্তু কেন এবং কিভাবে এই শিশুগুলো এই পেশার সাথে জড়িয়ে পড়ছে? কার নৈপথ্যে চলে এমন কারসাজি? ছবিঃইন্টারনেট সংসার আর শারীরিক শক্তির অভাব থাকলে কি মুক্তির একমাত্র পন্থা এই ভিক্ষা পেশা। নাকি অন্যকিছু? সরকারতো এসব ভিক্ষুকদের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। সেই প্রকল্প কি আদৌ বাস্তবায়ন হয়েছে? ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে ভিক্ষুক জরিপ এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান নামের একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। নয় জেলার মধ্যে ৪ জেলার ৫০০ জন করে মোট ২০০০ জনের পুনর্বাসন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয় সরকার। পরবর্তীতে যমুনা টিভির এক বিবৃতিতে  ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্প কর্মসূচির পরিচালক সৈয়দা ফের...