পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধর্ষণ নিয়ে কিছু কথা!

ছবি
 প্রত্যেক মানুষই প্রত্যাশা করেন উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপদ একটি জীবন নির্বাহ করার। কিন্তু এই প্রত্যাশা টা যেন অমাবস্যার চাঁদ! উন্নত ও শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য পরিশ্রম, অধ্যবসায়,আমাদের আশেপাশের পরিবেশ ও আমাদের জীবনের কিছু সিদ্ধান্তের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা? ওটা তো আমাদের মৌলিক অধিকার তাই না? কিন্তু তাও কেনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আমাদের দেশের নারী সমাজ? বাংলাদেশে ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে নারী নির্যাতন ও নারীদের প্রতি অবহেলা। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু পরিবর্তন হলেও এই দিকটা ঠিক পরিবর্তন হলো না বরং সময়ের সাথে সাথে যেন বেড়ে যাচ্ছে নির্যাতন ও ধর্ষণের হার বাংলাদেশে, গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে৷ বাদ যায়নি প্রতিবন্ধী কিংবা ছয় বছরের শিশুও৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে এসব নারী ও শিশুকে৷ বিচার না হওয়াকে এই পরিস্থিতির জন্য দুষছেন মানবাধিকারকর্মীরা৷ সিলেটের এমসি কলেজে শুক্রবার সন্ধ্যার পর স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত৷ ব্যস, বাঁচার জন্য আর কি দরকার? ক্ষমতাস...

স্বপ্নের একুশে কি নিরাপদ হবে সড়ক?

ছবি
 বিশে বিষাক্ত হয়ে গেছে আমাদের এই চলতি বছর, করোনা মহামারী পুরো বিশ্বকে করে দিয়েছে স্তব্ধ। এক অচেনা আচর সামলাতে হিমশিম পুরো বিশ্বের। হাজারো মানুষের প্রাণনাশ ধস নেমিয়েছে অর্থনীতিতে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ভয়ে কাতর। ইতালি ফ্রান্স সহ যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য এ প্রাণহানি থেকে রেহাই পায়নি। বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। এই মহামারী  মধ্যেও থেমে নেই রাস্তায় মৃত্যুর মিছিল।  এ বছরের  মার্চ থেকে দেশে লকডাউন শুরু হয়। এর কয়েক মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সীমিত আকারে যানবাহন খুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যেও সড়ক দুর্ঘটনা থেমে থাকেনি। নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) তথ্যমতে, চলতি বছর সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪ হাজার ৯২টি, প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৯৬৯ জনের। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৫ জন।   বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। গবেষণা বলছে, দেশের সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া লোকজনের ৫৪ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। আর দুর্ঘটনায় নিহত লোকজনের সাড়ে ১৮ শতাংশ শিশু, তাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা...

চিরায়তন মুচির জবানবন্দি এবং বর্তমান সমাজবাস্তবতা!

ছবি
  এক বাংলাদেশে মুচি সম্প্রদায় একটি অবহেলিত দলিত শ্রেণী। এরা আমাদের খুবই পরিচিত কিন্ত এদের সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুবই সংকীর্ণ। এরা সমাজের এমনই একটি অস্পৃশ্য অংশ যে আমাদের শরীরে এদের স্পর্শ সয়না। এরা যে গ্লাসে পানি পান করে যে কাপে  চুমুক লাগায় যে প্লেটে  ভাত খায় সেসবে আমরা মুখ লাগাতে পারিনা আমাদের রুচিতে বাঁধে।এরা আমাদের পাশে থেকেও অনেক দূরলোকের বাসিন্দা। মুচিদের আবাসগুলিও নির্মিত হয় আমাদের আবাসের সাথে দূরত্ব রেখে। এদের সংখ্যা অতি নগন্য। মুচিদেরকে সংখ্যালঘু বললেও মনে হয় লঘুত্বকে হালকা করা হয়। আমরা তথাকথিত সভ্যজনরা বিপুল বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ তাই দিনে দিনে আমরা সংখ্যায় আরও বেশি গরিষ্ঠ হই। আমাদের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আবাসগুলি যখন এদের আবাসকে ছুঁয়ে ফেলে বা ছুঁয়ে ফেলার উপক্রম হয় তখন এদেরকে আরও দূরে সরে যেতে হয়। হুমকি দিয়ে গরিষ্ঠতার দাপট দেখিয়ে অর্থের প্রলোভন দিয়ে সরে যেতে বাধ্য করা হয়।সভ্য সমাজের মাঝখানে এই নোংরা মুচি সম্প্রদায় বসবাস করতে পারেনা। এ যেন চর্যা আমলের ডোম বা ডুম্বির মত। “নগর বাহিরিরে ডোম্বি তোহোরি কুড়িআ,ছোই ছোই জাহ সো বাম্মনাড়িয়া’ চর্যা কবির রচনায় তবু ডোম্বিকে নিয়ে...