পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আফগানিস্তান দুর্যোগে আমাদের উল্লাস!

ছবি
 আফগানিস্তান নামটা কত না কথা আমাদের মনে জাগায়। রবীন্দ্রনাথের কাবুলীওয়ালা, মুজতবা আলীর দেশে বিদেশে। সেই আফগানিস্তানে তালিবান আবার ক্ষমতায় এলো। বাংলাদেশের অনেক মানুষই যেন উল্লসিত তালিবানের এই আগমনে। ক্ষমতায় আসার আগে তালিবান ক্রমাগতই হত্যা করে চলেছিল সাংবাদিক, বিচারক, ছাত্রদের – তাদের রোষ বিশেষ করে রক্ষিত ছিল নারী পেশেজীবীদের জন্য। আর জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য – যেমন শিয়া সংখ্যালঘুদের জন্য। ছবিঃ ইন্টারনেট  অন্যদিকে মার্কিন সৈন্য অপসারণে যারা খুশী তারা “সাম্রাজ্যবাদের” পতনে উল্লসিত। এটা হয় নিতান্তই সরলতা নয় ইচ্ছাকৃতভাবে ইতিহাসকে অন্যভাবে বর্ণনা। অনেকেই আফগান সরকারের দুর্নীতি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেছেন এবং কেমনভাবে এই সরকার টিঁকত না তাই নিয়ে রাজনৈতিক/অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করেছেন, কিন্তু সেখানে গত ২০ বছরে যে আফগানিস্তানে যে নারী প্রগতি হয়েছিল তা এড়িয়ে গেছেন, কারণ তাঁরাও মনে মনে এই মার্কিন পরাজয়ে উল্লসিত হয়েছেন। এই উল্লসিত বিশ্লেষকেরা হয়তো আবার দু ভাগে বিভক্ত। এক শ্রেণী আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় যেন আসে সেই আশা করবে, কিন্তু নিজ দেশে নয়; অন্য শ্রেণী হয়তো নিজ দেশেও তালিবানকে ক্...

অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার !

 গত ১৬ জুলাই মধ্যরাতে আমার খুব কাছের এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল। আমার বন্ধুর নাম নবিন । বন্ধু বললো, তার পাঁচ লাখ টাকার পণ্য ই-কমার্স সাইটে আটকে আছে। এছাড়া আমার আরো কয়েকজন বন্ধুর লাখ লাখ টাকা ইভ্যালিতে আটকে আছে বলেও জানি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের ই-কমার্স ধরণ পছন্দ করতাম না শুরু থেকেই। আজ পর্যন্ত কোনো ই-কমার্স সাইটে কোনো প্রোডাক্ট অর্ডার করিনি। বাংলাদেশের অনেক তরুণ, অনেক উদ্যোক্তা, অনেক ব্যবসায়ী বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট থেকে পণ্য কিনে বিক্রি করতো অধিক মুনাফার আশায়। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক তরুণের, অনেক ব্যবসায়ী টাকা বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে আটকে আছে। তারা নানা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এমনকি তারা তাদের টাকা অথবা অর্ডার করা পণ্য পাবে কি না তা নিয়েও হতাশায় ভুগছেন। সরকার বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিদেশ যাওয়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমনকি তাদের ব্যাংক হিসাবও সিল করেছে। কিন্তু এরপরও দেখা যাচ্ছে ই-কমার্স সাইটগুলো অনলাইনে তাদের পণ্য বিক্রি চালু রেখেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে আসুক এবং সুন্দর ভাবে ব্যবসা করুক। কিন্তু ই-কমার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠ...

ধর্ষণ মামলায় গণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা!

 জনসংখ্যার ভারে জর্জরিত বাংলাদেশ। সে দেশে আইনের প্রয়োগ ও তা মানার ক্ষেত্রে অনিহাও সর্বত্র বিরাজমান। যারা মানে তাদের সংখ্যা তাই যেনো খুব নগন্য। সামাজিক উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হচ্ছে সমাজে আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এদেশেও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত পুলিশ বাহিনী। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় এদেশের পুলিশবাহিনির সদস্যের সংখ্যা অনেক কম। এদের প্রশিক্ষণ সুবিধা অপ্রতুল, আধুনিকায়ন সুযোগ সুবিধা এমনকি বাসস্থানের কোনো নিরাপদবেষ্টিত পুলিশ কোয়ার্টার নেই। তাই আরো ভালো, আরো ভালো কাজের আশা করাটা অনেকটা কষ্টসাধ্য বটে৷ অনেকক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোতে তদন্ত কর্মকর্তা পারিবারিক নিরাপত্তার কথাও ভেবে থাকে এতে করে মামলা পরিচালনা ব্যাহত হয়। কখনো কখনো আমরা দেখি চেকপোস্ট নামক যায়গাগুলোতে জনগণের তীব্র আপত্তি। মনোভাবটা তখন এমন যে তার চৌদ্দপুরুষের মানসন্মান সব ধুলোতে মিশে গেলো। হ্যাঁ, এ ক্ষেত্রে আপনি জনগন হিসেবে যেটা করতে পারেন তা হলো আপনি কোনো তৃতীয় ব্যাক্তিকে সে সময় কাছে রাখার দাবি রাখতে পারেন৷ আমরা দেখি পাবলিক প্লেসে তল্লাশির সময় তারা স্পষ্টই পুলিশকে গালি দিতে থাকেন। একটা জিনিস মনে ...

টাকা এবং নারী, সকল অপরাধের মূল!

ছবি
 কাগজের টুকরো টাকার কাছে পুরো পৃথিবী এখন অচল। আর সেই অর্থের জোগান দিতে কেউ খুঁজতে সহজ পন্থা আবার কেউবা খুঁজছে অসৎ উপায়। আর সেই অর্থের খেলায় মানুষ,মানুষ থেকে হয়ে উঠেছে যান্ত্রিক,অনুভূতিহীন প্রাণী।আর গুরুজনরা বলে গেছেন অর্থই অনর্থের মূল! অন্যদিকে  অর্থ ছাড়া জীবনই অচল। সেই আদিম কাল থেকে প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ ক্ষমতাবান হতে চায়। আর ক্ষমতাবান হয়ে ওঠার মূল রসদই হচ্ছে টাকা। অ্যান্ড্রিউ কুমো'র কথাটা আসলেই সত্যি "শক্তি এবং ক্ষমতা নিয়ে বরাবরই এক ধরনের ঝামেলা সবার মাঝেই লেগে যায়।"ক্ষমতা থাকলে মিথ্যা কথাও বাণী,শক্তি আর টাকা থাকলে মূর্খরা হয়ে যাই জ্ঞানী। আর সে ক্ষমতার অর্জুনের পিছিয়ে নেই নারীরাও। পৃথিবীর জন্ম লগ্ন থেকেই পুরুষ বিপথগামী হয় ক্ষমতাবান হলে আর নারী বিপথগামী হয় ক্ষমতাবান হতে। অর্থাৎ ক্ষমতাবাজিই দু’য়ের বিপথগামীর মূল কারণ, যার বৃত্তি হচ্ছে টাকা।  সেই সুতো ধরেই দু’য়ের টার্গেট এসে একবিন্দুতে দাঁড়ায়। সেই থেকেই শুরু হয় টাকা আর ক্ষমতাবাজির নোংরা খেলা। মারপ্যাচে পরে পিষ্ট হয় সাধারণেরা, যারা নিরীহ বা যারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বদ্ধপরিকর। আর যারা এর মাঝেই সুখ বুঝে, তারা গড্ডালিক...