টাকা এবং নারী, সকল অপরাধের মূল!
কাগজের টুকরো টাকার কাছে পুরো পৃথিবী এখন অচল। আর সেই অর্থের জোগান দিতে কেউ খুঁজতে সহজ পন্থা আবার কেউবা খুঁজছে অসৎ উপায়। আর সেই অর্থের খেলায় মানুষ,মানুষ থেকে হয়ে উঠেছে যান্ত্রিক,অনুভূতিহীন প্রাণী।আর গুরুজনরা বলে গেছেন অর্থই অনর্থের মূল! অন্যদিকে অর্থ ছাড়া জীবনই অচল। সেই আদিম কাল থেকে প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ ক্ষমতাবান হতে চায়। আর ক্ষমতাবান হয়ে ওঠার মূল রসদই হচ্ছে টাকা।
অ্যান্ড্রিউ কুমো'র কথাটা আসলেই সত্যি "শক্তি এবং ক্ষমতা নিয়ে বরাবরই এক ধরনের ঝামেলা সবার মাঝেই লেগে যায়।"ক্ষমতা থাকলে মিথ্যা কথাও বাণী,শক্তি আর টাকা থাকলে মূর্খরা হয়ে যাই জ্ঞানী। আর সে ক্ষমতার অর্জুনের পিছিয়ে নেই নারীরাও। পৃথিবীর জন্ম লগ্ন থেকেই পুরুষ বিপথগামী হয় ক্ষমতাবান হলে আর নারী বিপথগামী হয় ক্ষমতাবান হতে। অর্থাৎ ক্ষমতাবাজিই দু’য়ের বিপথগামীর মূল কারণ, যার বৃত্তি হচ্ছে টাকা। সেই সুতো ধরেই দু’য়ের টার্গেট এসে একবিন্দুতে দাঁড়ায়। সেই থেকেই শুরু হয় টাকা আর ক্ষমতাবাজির নোংরা খেলা। মারপ্যাচে পরে পিষ্ট হয় সাধারণেরা, যারা নিরীহ বা যারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বদ্ধপরিকর। আর যারা এর মাঝেই সুখ বুঝে, তারা গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়েই খেলে যায় টাকার খেলা। এজন্যই সমাজ মাঝেমধ্যে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠা ক্ষমতাবানদের চেহারা দেখতে পায়। বর্তমান সময়ে এসে চোখে ধরা পড়েছে এ যাত্রায় নারীদের মেলা! আর সেই মেলাতে টিকে থাকার জন্য চলে রমরমা ব্যবসা।
আদম সৃষ্টির থেকেই পুরুষ নারীতে দুর্বল। কেউবা সেই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা আবার কেউ বা দুর্বল করে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। আবার অন্যদিকে নারীর এ ধরনের দুর্বলতা না থাকলেও কখনো কাড়িকাড়ি টাকার লোভ, কখনো সহজপথে ক্ষমতাবান হওয়ার লোভ আবার কখনোবা টিকে থাকার লড়াইয়ে বুঝে না বুঝে আত্মসমর্পণ করে ফাঁদে পা দেয়। ভিন্ন ঘটনাও চোখে পড়ে উচ্চাভিলাষী নারীও কিন্তু পুরুষের নারীপ্রীতিকে আশ্রয় করে ফাঁদ পাতছে। আর সেই ফাঁদে ধরা দিচ্ছে অনেকে, সহায়-সম্বল হারিয়ে হয়ে উঠেছে পথের ফকির।
অর্থাৎ অন্যায় চাওয়াকে পাওয়ায় পরিণত করতেই একে অন্যকে ট্র্যাপ করছে। কখনও পুরুষ নারীকে, কখনো নারী পুরুষকে। এবার জন্য ভিন্নতা যোগ হয়েছে। এতোকাল একতরফা পুরুষই নারীকে ট্র্যাপ করে এসেছে, হালে ক্ষমতাবাজির নেশায় পড়ে সে কর্মে নারীও সমানতালে পা মেলাচ্ছে। সারকথা, ক্ষমতাবাজির লোভই এর কারণ।
তবে বর্তমান সময়ে একটা ব্যাপার আলোর মতো সহজ হয়ে উঠেছে, এ পর্যন্ত বিপথগামী যে নারীগুলোর নাম আসছে মিডিয়ায়, তারা প্রায় সকলেই যেসব ঘটনা থেকে ধৃত হচ্ছেন সেসব ঘটনা এককভাবে পরিচালনা কোনোভাবেই সম্ভবপর নয়। অর্থাৎ বুঝতে বাকি নেই, সংঘবদ্ধভাবে ঘটিত ঘটনার তারা একেকটি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র মাত্র। আচ্ছা বলেনতো, হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা এসব ক্ষমতাবান নারীদের যারা প্রমোট করে আসছিলেন, তাদের নাম কেন উঠে আসে না?? ওরা, কারা??? আর কী-ই বা ঝামেলা ঘটেছে যে কারণে এতোদিন ঠিকঠাক চললেও হঠাৎ করে কেবল এই নারীরাই ফোকাস হয়ে উঠছেন? বনিবনা না হওয়াতেই কী এ অবস্থা? পেছনের হাতটি তবে আড়ালে কেন? সূক্ষ্ম বিষয়টা কেন যেন ঘোলাটে, মানুষ গড়তে চায় না কারো সামনে আসে না। আড়াল থেকেই চলে আয়নাবাজি।
ফলে,যেকোনো ঘটনা মূল উদঘাটন না করলে সাময়িক সময়ের জন্য বিরতি নিয়ে এর শেকড় আবারও অন্যদিকে মাথা তুলে কার্যক্রম চালানো শুরু করে। ফলে কাজের কাজ কিছুই হয়না, মাঝখান থেকে হট্টগোল করে জল ঘোলা করা হয় কেবল। ধরা পড়লেই সমানে সবাই কোরাস গাইতে শুরু করে। অথচ এসব খবর রাখার জন্য যেমন প্রশাসন আছে তেমনি আছে সাংবাদিক সমাজ। কারোরই যেন কোনো দায় নেই। সামনে যা পায় তাই নিয়ে হইচই করি ভিতরে যাওয়ার দরকার কি? একটা কথা এখনকার জন্য সত্য বাংলাদেশের মানুষকে যা খাওয়াবেন তারা তাই খাবে।
মনে প্রশ্ন জাগে, মূল রহস্য যারা বেদ করবেন তারা কী ঠিক আছেন? নাকি নাটের গুরু তারাই?
গ্রামের আবুল চাচাকে এগুলো বোঝানো সহজ কিন্তু শিক্ষিত সমাজের কি হলো?? তার ঘুমিয়ে কেন? শিকড়ে না গিয়ে লোভাতুর এই নারীগুলোকে একের পর এক সামনে টেনে এনে, আড়ালে থাকা নাটেরগুরুদের আড়ালে রেখে সমাজকে আসলে কী মেসেজ দিতে চান আপনারা?
নারী বা পুরুষ নয়, গুরু ঠাকরুনদের দেখতে চাই।
লেখক:ব্লগার,রেজাউল হক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন