ধনীর ধনবৃদ্ধি,গরিবের পচন।
" গত ৮ জুন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত জানান, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সরকারঘোষিত ৬৬ দিনের লকডাউনে প্রায় পৌনে চার কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছে। এ সময়ে পাঁচ কোটি ৯৫ লাখ মানুষের শ্রেণিকাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে দুই কোটি ৫৫ লাখ মানুষ হতদরিদ্র হয়েছে। তবে অতি ধনীর অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। "
এখন এই যে অতি ধনীর দল টিকে গেল আর আরেক দল ধুলোর সাথে মিশে যাচ্ছে দিন কে দিন। এই বুঝি রাজনীতি বা দেশের উন্নতি ?
অনেকে স্বপ্ন পুরণের আশায় নিজের বাপ দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে এই যাদুর শহরে থাকে। অনেক কষ্টে চলে। এমন ও মানুষ আমি দেখেছি নয়টা পাঁচটার অফিস সেরে আবার দু তিন টা টিউশনি করছে। স্ত্রী ও কোন না কোন উপায়ে একটা রোজগারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই আশায় যে, ছেলে মেয়ে একটা ভালো স্কুলে পড়বে। উচ্চতর একটা ডিগ্রী নিবে। একটা মোটা মাইনের চাকরি করবে। এইতো! এসব স্বপ্ন এখন অনেকে দেখতে পায়না। চোখে আঁধার দেখে স্পষ্ট।
সরকারি চাকুরীজীবি দের জন্য যাও সরকার কিছু রেখেছে। করোনায় কেউ মারা গেলে কিছু মিলবে কিন্তু যারা বেসরকারি চাকুরীজীবি! তাদের হাল খারাপ হচ্ছে। বেতন কমে যাচ্ছে। বাসা ভাড়া দিতে মুশকিল হচ্ছে। অনেকের তো পেটের ভাত আর শরীরের কাপড় যোগাতে কষ্ট হচ্ছে।
অথচ এ শহরেই এমন ও দুই পায়ের প্রাণী আছে যাদের প্রতিদিনকার দুই তিন পেগ হুইস্কির পয়সায় একটা পরিবার চলতে পারবে। তাদের এক রাতের হোটেল রুমের ভাড়ায় একটা পরিবার চলতে পারে। এই যে যাদের কথা বললাম না এদের বেশীরভাগই রাজনীতির সাথে জড়িত অথবা রাজনীতিতে বিপুল পরিমাণের অর্থ ইনভেস্ট করছে।
দেশে বেকার বেড়েই চলছে। এতে করে লাভবান হচ্ছে রাজনীতিবিদ গন! এসব তথাকথিত রাজনীতিবিদ গন যদি বেকার দের ১০ শতাংশ কে নিজেদের বর্গী বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে আর প্রশাসন হাতে থাকলে টাকাতো চ্যালাচ্যালাইয়া আসবে কোন অসুবিধা নাই।
এই নিজস্ব বর্গী বাহিনী চাঁদা তুলবে, এল, এস, ডি, ইয়াবা, গাঁজা, আইস, হেরোইন, ফেন্সিডিল আরও যত মাদকদ্রব্য আছে উহা বেঁচবে। পিছন থেকে এরা শেল্টার দিবে আর মাল কামাবে।
প্রয়োজন হলে বাঁচিয়ে রাখবে আর প্রয়োজন শেষ হলে ক্রস ফায়ার সন্ত্রাসী মারা হলো। ইহা বুঝতে পি এইচ ডি করা লাগে না। এইতো চলছে রাজনীতির নামে দেশ সেবার নামে।
৫০০ গ্রাম আইসের যা দাম তা শুনলে দিনের বেলায় চোখে তারা দেখবেন!
এ সমাজে এখন এসব ভেদাভেদ খুব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এক শ্রেণীর হাতে এত টাকা যা ভাবলেও ঘুম হারাম হয়ে যায় আবার আরেক শ্রেনী সংখ্যা মাত্র মানুষ নয়! তা দেখলেও ঘুম হারাম হয়ে যায়!
কেন এত ভেদাভেদ? কেন এত সম্পদের অসম বন্টন? কেন একজন মানুষ বাঁচার শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে ন্যাংটো হয়ে যাচ্ছে? কেন? এসবের উত্তর কোনদিন মিলবে না এ আমি নিশ্চিত কিন্তু যারা এমন জঘন্য রাজনীতি করে গেলেন তাদের মুখে পেচ্ছাপ করি ! আমি খুব ভালো করে জানি ইহা লিখে সমাজের একটা বাল ও ফেলানো যাবে না বা পড়বে না। যদিও কয়দিন পর উত্তর এর বাতাস আসবে গাছের পাতা ঝরবে কিন্তু এসব সমস্যা ঝরবে না এক বিন্দু! তবু লিখছি কেন জানেন?
যাতে সকালে ঘুম থেকে উঠে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে চোখ রেখে হাসতে পারি। ভালো থাকবেন সকলে।
অতিথি লেখক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন