সিনিয়র বারসেস জুনিয়র

 আমরা সেই ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি ছোটরা বড়দেরকে সম্মান করবে তাদেরকে স্নেহ করবে। এমন মানবিকতায় বড় হওয়ার পরও বাংলাদেশের নোংরা ছাত্র রাজনীতি আমাদের মানবিকতাকে আজ হত্যা করছে প্রতিনিয়ত।


বর্তমান প্রেক্ষাপট বলে ক্লাস ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো এলাকা তৈরি করছে কিশোর গ্যাং। আরেকটু সামনে বাড়ালেই ক্লাস নবম-দশমে পৌঁছালে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাতে হয় অল্প বয়সী কিশোরদের। এ কেমন রাজনীতি? যে সময়টায় কিশোরদের মেধা বৃদ্ধির সময় নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সময় ঠিক তখনই নোংরা রাজনীতিতে পরে ধ্বংসের পথে শিক্ষার্থীরা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে স্কুল কলেজের ছাত্ররা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে ধ্বংসের পথে চলে গেছে এমন খবর খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সেখানে বাংলাদেশ কিশোর শিক্ষার্থী খুনের সংখ্যা হিসেব করে শেষ করা টাই মুশকিল। তবে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?


গত 21 অক্টোবর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা কলেজ এ কথা কাটাকাটির জের ধরে সাবেক ছাত্রের ছুরিকাঘাতে বর্তমান দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম রাহাত  নিহত। অকালে এই প্রাণ চলে যাওয়াটাকে রাজনীতির খেলা পরিবারের খামখেয়ালি নাকি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কে দায়ী করবেন? বাংলাদেশের সরকার প্রধানের এসব দিকে দৃষ্টি না দিয়ে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু কে খুন করেছ কিনা তা নিয়ে বেশি ব্যস্ত। অথচ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ নিশংসভাবে প্রতিনিয়ত কত মানুষকে হত্যা করছে তার কোন হিসেব আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নেই। তিনি বাবার হত্যার বিচার নিয়েই ব্যস্ত ।দেশের অন্য হত্যাকে তিনি হত্যা বলেই মনে করছেন না। এ কেমন সরকারপ্রধান?


আমাদের বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি আমাদের আস্থার জায়গা। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপেই আমাদেরকে একটু স্বস্তির জায়গায় ফিরিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের কলেজ লেভেল পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজনীতিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এটাই আমাদের আমজনতার জোর দাবি। তাহলে এই কিশোর গ্যাং ছাত্র রাজনীতির নামে নিশংস হত্যা সিনিয়র-জুনিয়র কিছুটা হলেও কমতে পারে।





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সিলেটি ভাষা ও সংস্কৃতি

নতুন সমাজ ব্যবস্থায় হাটছি আমরা

প্রসঙ্গ: ধর্মওয়ালা শাসক শোষক বনাম অভিজিৎ