পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধর্ম ও রাজনীতি!

ছবি
 মসজিদ ভাঙে ধার্মিকেরা, আবার মন্দিরও ভাঙে ধার্মিকেরা তারপরেও তারা দাবি করে তারা ধার্মিক। আর যারা ভাঙাভাঙিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক। হুমায়ুন আজাদের এ কথায় যেন বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাকে ইঙ্গিত করে। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের মাধ্যমে ফায়দা হাসিল করা হচ্ছে এখন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিগত বছর বিজয় দিবসে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পক্ষে যেন উচ্চারিত হয়েছে এক নতুন শপথ। ভাস্কর্য তথা মূর্তির বিরোধিতার নামে সাম্প্রদায়িক শক্তি নতুন করে ফণা তোলার কারণেই এক ধরনের প্রতিবাদী মনোভাব বিজয় দিবস উদযাপনকে ঘিরে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনাও এবার বিজয়ের মাসে ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বলেছেন, “মনে রাখতে হবে, সকলে এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে রক্ত ঢেলে দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছি। যার যা ধর্ম তা পালনের স্বাধীনতা সকলেরই থাকবে। আমরা সেই চেতনায় বিশ্বাস করি এবং ইসলাম আমাদের সে শিক্ষাই দেয়।”  প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “আমি একটা কথাই বলব, এই মাটিতে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষের বসবাস থাকবে অর্থাৎ আমরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে অন্য ধর্মকে অবহেলার চোখে...

সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বাংলাদেশ!

ছবি
 করোনা ভাইরাসের রূপ প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে, সংক্রমনের গতিও যেন পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। গত জুন মাসের লকডাউনের ঘোষণা আসলে ও পরক্ষণে  তা আবার বাতিল করা হয়। কারণ হিসেবে দেখানো হয় ব্যাংক ক্লোজিং।লকডাউন দিয়ে আবার ঈদের আগে উঠিয়ে নিয়ে মোটামুটি সব খুলে দেওয়ার ঘোষণা আসলো উপর মহল থেকে। আবার ঈদের কেনাকাটা শেষ হতে না হতেই শাটডাউনের ঘোষণা দিলো। ঈদের পর পরি করোনা প্রকোপ চরম আকার ধারন করলো; আর তা কমাতে সরকার শাটডাউন দিলো। তাও বলা হচ্ছে কঠোর লকডাউন। সরকারী প্রজ্ঞাপণে কঠোরতারভাবে সকল কার্যক্রমগুলো পালন করতে বলা হলো। পোষ্টার, মাইকিংসহ প্রচারনা চলছে মাস্ক ও সামাজিক দুরত্বের। করুনার প্রকোপ ঠেকাতে ৫ তারিখ অব্দি গার্মেন্টস বন্ধ থাকার ঘোষণা করে । ঈদের আগে/ পরে তাই লোকজনকে দেখা গেলো পায়ে হেঁটে, ছোটছোট যানবাহনের করে বহুকষ্টে বাড়িতে ফিরতে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আর বাডি ফেরার আরেকটি কারণ হলো একটা লম্বা ছুটি। দশদিন না যেতেই ঘোষনা হলো ছুটি বাতিল, ১ তারিখ থেকে গার্মেন্টস্ খোলা। সংক্রমণ কী কমতে শুরু করেছে? একটা চাকরীর উপর একটা পরিবার চলে। একটা চাকরি চলে গে...

আগুনের ভয়াবহতা!

ছবি
আগুনের লিলি শিখার কাছে হার মানতে হয়েছে অনেক জাতিকে  ২১ সালে তা যেন পুরো বিশ্বে অন্য রূপ ধারণ করেছে। অ্যামাজন বন, ইতালি, ব্রাজিল, আমেরিকা সহ বেশ কয়েকটি দেশ আগুনের দাবানলে পুড়ছে প্রতিনিয়ত ।প্রকৃতির সৃষ্ট লিলি শেখা ময় ‘আগুন’ হয়তো মেনে নেওয়া যায়, প্রতিরোধের ব্যবস্থাও নেওয়া যায়, রক্ষা করা যায় নিজেকে, আবার দিনশেষে প্রকৃতির ওপর দোষ চাপানোও যায়! কিন্তু মানুষের সৃষ্ট আগুনে যখন মানুষের মরণ, তখন তা থেকে সান্ত্বনার পাবার উপায় কী? দোষ কাকে দেবেন, নিজেদের? এ ছাড়া আর উপায়ই–বা কী! বাংলাদেশ নিকৃষ্ট এক মহামারী করোনা ভাইরাস নামক বেদি মানুষকে আতঙ্ক ও ভয়াবহতার রুপ দেখিয়েছে। মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই চাইছে না, দিনে দুই শতাধিকের ওপর মানুষের মৃত্যুর, প্রিয়জনের লাশের ঘানি টানতে টানতে মানুষের যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির রেকর্ড পার করছে প্রতিনিয়ত। পাশাপাশি দেশে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড এবং তাতে মানুষের মর্মান্তিক, মর্মন্তুদ, হৃদয়বিদারক, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত মৃত্যুর ঘটনা কোনোমতেই যেন থামছে না। গত ৮ জুলাই’২১ বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস লিমিটেড কারখানায় আগুন ল...

শাল্লায় সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে!

ছবি
 বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আমলে সাম্প্রদায়িক অশান্তি? কথাটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। তথাপি রামুসহ বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ঘটছে। এজন্যে সরকারি প্রশাসনের গাফলতিকে দোষ দেওয়া যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষকে দোষ দেওয়া যায় না। ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি। শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্মম অত্যাচার চলেছে, তাতে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্ররোচনা ছিল। অভিযোগ দেখে মনে হয়, এর সঙ্গে প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দল এবং তার যুব সংস্থারও হয়তো যোগসাজস ছিল। এই সংখ্যালঘু নির্যাতনের কারণে যুবলীগের এক কর্মী অথবা নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফলে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলামের পক্ষে এ কথা বলা সহজ হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বাড়ে।’ শাল্লার ঘটনাটি হেফাজতি নেতাদের উসকানিতে হয়েছে, এ কথা সত্য হওয়া সত্ত্বেও কথাটা লেখার সময় একটু ভাবতে হয়। বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার সময় হেফাজতিদের দায়ী করে লিখতে বসেছিলাম, তারপর দেখা গেল এই ভাস্কর্য ভেঙেছে যুবলীগের স্থানীয় নেতারা। শাল্লার হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতি...

বাকস্বাধীনতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন!

ছবি
 সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘‘মৌলিক অধিকারের সহিত অসামঞ্জস্য আইন বাতিল হইবে”। এ বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ উচ্চ আদালতের নাই ১৯৭০ এর নির্বাচনের পূর্বে বঙ্গবন্ধু, তাঁর দল আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতাকে পাকিস্তানের পরবর্তী সংবিধান রচনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনের উদ্দেশ্য ছিল, পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও পাকিস্তানের সংবিধান রচনা করার জন্য সাংবিধানিক কাউন্সিল' গঠন করা। কিন্তু, পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ ভুট্টো ও সামরিক জেনারেল ইয়াহিয়া খান বাঙালির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে উল্টো এদেশ জুড়ে গণহত্যা চালায়। ত্রিশ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করা হয়। তারপর নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।  বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাত্র ১০ মাসের মাথায় ১৯৭২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের সংবিধান সাংবিধানিক কাউন্সিলে পাস করা হয়। ১৫৩ অনুচ্ছেদের এই সংবিধান পৃথিবীর কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে সামনে আসে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে একটা লিখিত সংবিধান গ্রহণ করার কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু সরকারের। সেই সময়ে বিশ্বব্যাপী যাঁরা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন তাঁরা সবাই স...