ধর্ম ও রাজনীতি!

মসজিদ ভাঙে ধার্মিকেরা, আবার মন্দিরও ভাঙে ধার্মিকেরা তারপরেও তারা দাবি করে তারা ধার্মিক। আর যারা ভাঙাভাঙিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক। হুমায়ুন আজাদের এ কথায় যেন বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাকে ইঙ্গিত করে। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের মাধ্যমে ফায়দা হাসিল করা হচ্ছে এখন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিগত বছর বিজয় দিবসে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পক্ষে যেন উচ্চারিত হয়েছে এক নতুন শপথ। ভাস্কর্য তথা মূর্তির বিরোধিতার নামে সাম্প্রদায়িক শক্তি নতুন করে ফণা তোলার কারণেই এক ধরনের প্রতিবাদী মনোভাব বিজয় দিবস উদযাপনকে ঘিরে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনাও এবার বিজয়ের মাসে ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বলেছেন, “মনে রাখতে হবে, সকলে এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে রক্ত ঢেলে দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছি। যার যা ধর্ম তা পালনের স্বাধীনতা সকলেরই থাকবে। আমরা সেই চেতনায় বিশ্বাস করি এবং ইসলাম আমাদের সে শিক্ষাই দেয়।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “আমি একটা কথাই বলব, এই মাটিতে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষের বসবাস থাকবে অর্থাৎ আমরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে অন্য ধর্মকে অবহেলার চোখে...