পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সিনিয়র বারসেস জুনিয়র

 আমরা সেই ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি ছোটরা বড়দেরকে সম্মান করবে তাদেরকে স্নেহ করবে। এমন মানবিকতায় বড় হওয়ার পরও বাংলাদেশের নোংরা ছাত্র রাজনীতি আমাদের মানবিকতাকে আজ হত্যা করছে প্রতিনিয়ত। বর্তমান প্রেক্ষাপট বলে ক্লাস ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো এলাকা তৈরি করছে কিশোর গ্যাং। আরেকটু সামনে বাড়ালেই ক্লাস নবম-দশমে পৌঁছালে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাতে হয় অল্প বয়সী কিশোরদের। এ কেমন রাজনীতি? যে সময়টায় কিশোরদের মেধা বৃদ্ধির সময় নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সময় ঠিক তখনই নোংরা রাজনীতিতে পরে ধ্বংসের পথে শিক্ষার্থীরা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে স্কুল কলেজের ছাত্ররা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে ধ্বংসের পথে চলে গেছে এমন খবর খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সেখানে বাংলাদেশ কিশোর শিক্ষার্থী খুনের সংখ্যা হিসেব করে শেষ করা টাই মুশকিল। তবে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? গত 21 অক্টোবর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা কলেজ এ কথা কাটাকাটির জের ধরে সাবেক ছাত্রের ছুরিকাঘাতে বর্তমান দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম রাহাত  নিহত। অকালে এই প্রাণ চলে যাওয়াটাকে রাজনীতির খেলা পরিবারের খামখেয়ালি নাকি...

লালন-দর্শন উপেক্ষা করে, লালন-চর্চা চরম হতাশাজনক ও চিন্তার দীনতা।

ছবি
 বাংলা ভাষার কালজয়ী কিছু গান যা মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় মানুষকে মোহাচ্ছন্ন করে রাখে, লালন সাঁইর গান তাদের মধ্যে রয়েছে প্রথমসারিতে। সব শ্রেণী পেশার মানুষ, ও সব কালের মানুষের নিকট সমানভাবে গ্রহণযোগ্য লালনগীতি। আবার লালন গানের মর্মবাণী না বুঝে অনেকেই শুধু হৃদয়গ্রাহী সুরেই বিমোহিত হয়ে থাকে। নানান ব্যক্তি বা পক্ষ নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা করেছেন লালনের কথা, অথবা স্বয়ং লালনকেই অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছেন তাদের দলে। ভালো মন্দ সব মিলিয়ে যেন এক অসুস্থ প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে গেছে ইতিহাসের এই মহান বাক্তিকে নিয়ে; সাঁইজির ভাষায় বলতে হয় – “এসব দেখি কানার হাটবাজার”। আসলে অন্ধের মত পথভ্রষ্ট ও বিপথগামী না হয়ে, অন্যের মনগড়া কথায় কান না দিয়ে আমাদের উচিৎ নিজে থেকে তার গান নিয়ে চিন্তা করা। ছবি: ইন্টারনেট আমি যতবার তার গান শুনি তার হৃদয়ের হাহাকার আর ব্যাকুলতা গভীরভাবে স্পর্শ করে আমাকে। শৈল্পিক চিন্তা, দরদ মাখানো অনুভূতি, ছন্দের জালে স্বপ্ন বোনা, প্রাঞ্জল উপস্থাপনা, চরম সত্য আত্মউপলব্ধি, বিনয়ী, ও প্রতিবাদী এসবকিছু লালন-চরিত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। চিন্তার শিল্পী, কথার জাদুকর, সুরের কবি লালন তার গানে...

ধনীর ধনবৃদ্ধি,গরিবের পচন।

  " গত ৮ জুন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত জানান, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সরকারঘোষিত ৬৬ দিনের লকডাউনে প্রায় পৌনে চার কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছে। এ সময়ে পাঁচ কোটি ৯৫ লাখ মানুষের শ্রেণিকাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে দুই কোটি ৫৫ লাখ মানুষ হতদরিদ্র হয়েছে। তবে অতি ধনীর অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। " এখন এই যে অতি ধনীর দল টিকে গেল আর আরেক দল ধুলোর সাথে মিশে যাচ্ছে দিন কে দিন। এই বুঝি রাজনীতি বা দেশের উন্নতি ? অনেকে স্বপ্ন পুরণের আশায় নিজের বাপ দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে এই যাদুর শহরে থাকে। অনেক কষ্টে চলে। এমন ও মানুষ আমি দেখেছি নয়টা পাঁচটার অফিস সেরে আবার দু তিন টা টিউশনি করছে। স্ত্রী ও কোন না কোন উপায়ে একটা রোজগারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই আশায় যে, ছেলে মেয়ে একটা ভালো স্কুলে পড়বে। উচ্চতর একটা ডিগ্রী নিবে। একটা মোটা মাইনের চাকরি করবে। এইতো! এসব স্বপ্ন এখন অনেকে দেখতে পায়না। চোখে আঁধার দেখে স্পষ্ট। সরকারি চাকুরীজীবি দের জন্য যাও সরকার কিছু রেখেছে। করোনায় কেউ মারা গেলে কিছু মিলবে কিন্তু যারা বেসরকারি চাকুরীজীবি! তাদের হাল খারাপ হচ্ছে। বেতন কমে...

আমাদের কথা বলতে দিতে হবে

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারা দিন আমি যেন কম কথায় থাকি। এটা হলো আমাদের প্রায় সবার পরিচিত ছোটবেলার নীতিকথার ছড়ার পরিচিত পঙ্‌ক্তির বর্তমানকালের সংস্করণ। ২৩ এপ্রিল প্রথম আলোর শেষ পাতায় ‘মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে আরও এক ধাপ পেছাল বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর থেকে সবাই জেনে গেছেন, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের ২০২০ সালের মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে পৃথিবীর ১৮০টি দেশের মধ্যে আমাদের স্থান ১৫১তম। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের এই মহান বছরে আমাদের সংবাদমাধ্যম ও বাক্‌স্বাধীনতার এই অবস্থা!   গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রসঙ্গ উঠলেই আমাদের নেতা-মন্ত্রীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কতগুলো সংখ্যা আউরে যান। প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের সংখ্যা সাংঘাতিক। কেবল সার্বক্ষণিক সংবাদ-টিভির সংখ্যা প্রায় এক ডজন। দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা শত শত। সাময়িকী, নিউজ পোর্টাল এবং আরও অনেক সংবাদমাধ্যম বেশুমার। অতএব, তাঁদের উপসংহার: গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বন্যায় দেশ ভেসে যাচ্ছে। ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট সে তরী, আমাদের বাক্‌স্বাধীনতায় গিয়াছে ভরি। যত্তসব। মন্ত্রী-নেতারা তো তত্ত্বকথার ধার ধারেন না। তা–ও বলি সংখ্যা সব সময় গুণের ইঙ্গিত দেয় না। কিছু কিছ...