পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রসঙ্গ:কিশোর গ্যাং

ছবি
 সমাজে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা ধরনের অপরাধ। ঘটে যাওয়া এসব অপরাধ আর অনিয়মের অনেক কিছুই ঢাকা পড়ে অন্ধকারে। হারিয়ে যাওয়া সে সব অনিয়ম আর অপরাধের কথা অনেকে বলতে চেয়েও বলতে পারছেন না। দিন দিন বড় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে কিশোর অপরাধীদের বিভিন্ন গ্রুপ। বিভিন্ন নামে পরিচিত করছে তারা নিজেদেরকে। জড়িয়ে পড়েছে ছোট থেকে বড় ভয়াবহ সব অপরাধে। পরিবারের খামখেয়ালী আর শিক্ষাব্যবস্থার দুর্দশার কারণে বাবা-মা-ভাই-বোন কিংবা শিক্ষক কেউই টের পাচ্ছেন না আদরের সন্তান আজ কতটা আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে। মাদক সন্ত্রাস ছিনতাই চাঁদাবাজি দখলদারিত্বের পাশাপাশি ভারটে বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব কিশোর। ইফটিজিং সহ প্রায় সব ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে তাদের নাম। সুদি এসব নয় খুনখারাপিতে ও জড়িয়ে পড়ছে তাদের নাম।এখন শুধু ছেলে ন‌ই লেডি কিশোর গ্যাং ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। আর এখন এটি শুধু শহরভিত্তিক নয় গ্রামগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে এমন ভয়াবহ কর্মকাণ্ড।  ছবিঃ ইন্টারনেট শুরুতেই মনে করিয়ে দিতে চাই ৭ জুলাই ২০১৯ সালের ঘটে যাওয়া শুভ হত্যার কথা কিশোর গ্যাং এর দ্বারা ছুরি আঘাতে মারা যায় গাজীপুরের টঙ্গী থানার নবম...

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলায় স্বস্তি ফিরেছে

ছবি
কোভিড ১৯ ভাইরাসটির তাণ্ডবে পুরো বিশ্ব লন্ডভন্ড। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ছয় কোটির বেশি গেছেন ‌১৫ লাখ এর কাছাকাছি। বাংলাদেশে মার্চ মাসের 8 তারিখে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। ১৬ ই মার্চ থেকে সরকার আমাদের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে প্রথমে শিক্ষাব্যবস্থার বন্ধ করার ঘোষণা দেন। অথচ দেড় বছর সময় চলে গেলেও খুলে দেয়া হয়নি পাবলিক থেকে কিন্টারগার্ডেন কোনো রকমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ধাপে ধাপে দুই মাস এক মাস বলে বলে সেপ্টেম্বর ডিসেম্বর জানুয়ারি করতেই থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সূত্র:ইন্টারনেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে না পারায় ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই এইচ এস সিতে অটো পাস করিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অপরদিকে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা হবেনা স্কুলের প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত। প্রত্যেকেই পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়ে যাবেন অটো পাশে এ ঘোষণা আসলো শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে। পুরো দেশ জুড়ে রয়েছে 28000 এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা পাঁচ লাখেরও বেশি। আর নন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা 37 হাজারের কাছাকাছি। শিক্ষকের...

সোনামণির স্কুল যাত্রায় হতে হবে সতর্ক!

ছবি
 প্রায় দেড় বছর পর দ্বার খুলল শ্রেণিকক্ষের। কচিকাঁচার কলতানে আবারও মুখরিত হয়ে উঠবে শিক্ষা অঙ্গন। অনেক সোনামণির হয়তো এই প্রথম বিদ্যালয়ে পা রাখা। আবার অনেক বাচ্চারা হয়তো এই দীর্ঘ সময়ের বিরতিতে ভুলতে বসেছে বিদ্যালয়ের গণ্ডি। তাই নতুন করে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবর্তনে উৎসাহ-উদ্দীপনা উৎসব বিরাজ করছে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবেনা মহামারির প্রাদুর্ভাব কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও একেবারে নির্মূল হয়নি। এখনো রোজ শনাক্তের হার হাজার ছাপিয় তাই সোনামণিদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর পূর্বে অভিভাবকদের হতে হবে সতর্ক। শুরুতেই শিশুকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করুন। তাকে বিদ্যালয়ের পরিবেশ সম্পর্কে অবগত করুন। আপনার সুন্দর বিদ্যালয়ের গল্পগুলো তাকে শুনাতে পারেন। ফলশ্রুতিতে, দীর্ঘ দিনের বিরতিতে বিদ্যালয়ের প্রতি শিশুর অনীহা কমে যাবে। এবারে তাকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত করুন। তাকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান, স্যানিটাইজেশন, দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়গুলো শিখিয়ে দিন হাতে কলমে। মনে রাখবেন, আপনার শিশু আপনাকে দেখেই শিখবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে আপনাকেও হতে হবে বিশেষভাবে সতর্ক।   এ...

বাংলাদেশ ভারত

ছবি
 বর্তমান বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কিছুটা হলেও ভারতের প্রভাবমুক্ত  হচ্ছে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশে এযাবতকালের সবথেকে বড় প্রকল্প কিন্তু এ প্রকল্পে নেই ভারতের কোন অবদান চিনা ঠিকাদারদের মাধ্যমে গড়ে উঠছে আমাদের এই পদ্মা সেতু । কিন্তু একের পর এক অস্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে চিনা কর্মরত নাগরিক ও বাংলাদেশী নাগরিকদের। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর নানা পদবীর অফিসারদের মধ্যেই একটি চরম উষ্মা কাজ করে বলে আমি জানি। সেটি হচ্ছে সারা দেশে নানা পরিচয়ে র-এর এজেন্টে সয়লাব।কি বীমা, কি গার্মেন্টস সেক্টর, কি রাজনীতি, কি ব্যাবসা, কি মিডিয়ায় কিংবা কি আদালতে। প্রতিটি স্থানে র-এর এজেন্টে সয়লাব বলেই অনেকেই নানা আলাপে জানিয়েছেন। বাংলাদেশের সর্বত্র মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে আছে RAW নামে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের কিছু খুনের সাথে জড়িত আছে এই গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থা এসবের কোনো তদন্ত করেনি। ২৩ জুন পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী জো জিয়াং কে গুম করে ভারতীয় বাহিনী। ভারত নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশী মিডিয়া গুলো গুমের কাহিনী পানিতে নিখোঁজ বলে চালিয়ে দেয়। সেই রাতেই আটক হয় ভারতীয় গোয়েন...

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনঃ স্বার্থ কার?

 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন' শুনলেই মনে হবে যেন আপনি কিছু একটা অনলাইনে লিখে ফেলেছেন এরজন্য আপনি আজ জেলে বন্দি- এমন একটি চিত্র আমাদের চোখে ভাসতে থাকে। বর্তমানে এমন একটি অবস্থা দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে যে কিছু লিখলেই আপনাকে জেলে যেতে হবে। আসলেই কি জেলে যেতে হচ্ছে? কেন'ই বা যেতে হচ্ছে?  স্থানীয় কিছু আলোচনা দিয়ে শুরু করি। স্থানীয় পর্যায়ে সংবাদকর্মী বা লেখকদের এমন এক অবস্থায় আছেন নিউজ প্রকাশ ত দূরের কথা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যদি কিছু লিখেন অর্থাৎ তার লিখাটা যদি স্থানীয় কোন প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের বিপক্ষে যায় তাহলেই তাকে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ৷ দিনের পর দিন তাকে নির্জনে বেঁধে রেখে করা হয় মানসিক নির্যাতন, অথবা গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ।  প্রশ্ন হচ্ছে এই নির্যাতিত মানুষগুলো কারা, এই নির্যাতিত মানুষ হচ্ছেন এমন কেউ কেউ যারা স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি বা কোন ক্রাইমের ব্যাপারে এক বাক্যের স্ট্যাটাস দিয়ে স্থানীয় কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি বা মহলের আক্রোশের শিকার হয়েছেন। নির্যাতিত ব্যক্তি হতে পারেন যেকোন রাজনৈতিক মতাদর্শের। তিনি হতে পারেন আওয়ামীলীগপন্থী, হতে পারেন বিএনপি ব...

ক্ষমতা !

 আমাদের অভ্যন্তরে স্রোতস্বিনী আছে, সেতু নেই। শেই কবিতাংশটুকু যেন আজ আমাদের জীবনের চরম বাস্তবতা। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি আমাদের মানুষের জীবন জীবিকায় যে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে তাতে সাধারণ মানুষের সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ধারণও প্রায় অসম্ভব বটে। এই জর্জরিত অবস্থায় রাজনীতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক নেতা, নির্বাচন ইত্যাদি নিয়ে ভাবনা খুবই দুরুহ ব্যাপার। পরিস্থিতি দিন দিন আরো ঘোলাটে হয়ে উঠছে। এই প্রহসন আমরা আর কতকাল এভাবে সহ্য করে নিতে হবে? আফগানিস্তানের বর্তমান যে অবস্থা, সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচানো যেন তাদের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের প্রকাশ্যে এমন দাঙ্গা-হাঙ্গামা না থাকলেও কোন দেশের সাথে যুদ্ধ না থাকলেও। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ একটা শ্রেণীর লোক তাদের জীবন বাঁচানোর জন্যে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হচ্ছে। আর তারা হলো খেটে-খাওয়া মানুষগুলো।এমন একটা নোংরা প্রেক্ষাপটে তারা শারীরিক, মানসিক, আর্থিকভাবে সর্বোপরী জীবনের ঝুঁকি, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। করোনা'র ছোবলে ধনীদের ধন-ভান্ডার বৃদ্ধি হয়েছে, পক্ষান্তরে খেটে- খাওয়া মানুষগুলো যেন আরো অসহায় হয়ে পড়েছে। দিনের পর দিন এই খেটে খাওয়া মা...